এলেক্স মার্টিনের নামে এক বিদেশি নাগরিকসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ এ মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান।
বুধবার (৩১ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সামিয়া রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলা গ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে দেননি ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
মামলা এজহার থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মামলার বাদী সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে প্লেইজারিজমের (একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি) অভিযোগ আনা হয়। যার অভিযোগ তদন্ত নম্বর-৩৩২৯৬। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়বস্তু ছিল- ‘আপনি (সামিয়া রহমান) এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান লিখিত ‘A new dimension of Colonialism and Pop Culture : A Case Study of the Cultural Imperialism’ প্রবন্ধে প্রকাশিত ‘The subject and power by michel foucault’ রচিত প্রবন্ধের কিছু অংশ প্লেইজারিজম করায় সেই জার্নালের অ্যাডমিনিস্ট্রেট অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর করা ই-মেইলের ভিত্তিতে বাদীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ‘সহযোগী অধ্যাপক’ হতে পদাবনতি দিয়ে ‘সহকারী অধ্যাপক’ করার যে শাস্তির সুপারিশ করেছে, সেই ই-মেইলটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট এবং সৃজিত। যেহেতু ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শিকাগো জার্নাল থেকে অফিসিয়ালি বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ই-মেইল কখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেইল আইডিতে পাঠানো হয়নি। আলেক্স মার্টিন বলে শিকাগো জার্নালে কখনই কেউ কাজ করেননি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও আলেক্স বলে কোনো ব্যক্তি নেই।