সাভারে বন্ধ রাখা সব মার্কেট খুলে দেয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এসময় মহাসড়টিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের নিউ মার্কেটের সামনে রাস্তার দুই পাশে অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। সরেজমিনে সাভার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, সাভার নিউ মার্কেটের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।
এসময় মহসড়কে চলাচলরত সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। এ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলগুলোকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। তবে এসময় পুলিশ সদস্যদেরকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেছে। বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার মধ্যে শুধু মাত্র কাঁচা বাজার এবং ঔষুধের দোকান খোলা রেখে সব ধরনের দোকাটপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আমরা যারা মার্কেটে কাজ করি তাদের পকেটে টাকা নেই, বাজার করবো কিভাবে।
রবিউল ইসলাম নামে সাভার নিউ মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের মার্কেটে সুন্দর পরিবেশ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহারসহ সকল ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও আমাদের মার্কেটগুলো কেন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই এখন থেকে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সাভারের সমস্ত দোকানপাট খোলা রাখার জন্য বিক্ষোদ্ধ ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
অপর ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, পুলিশের ওসি ইন্টেলিজেন্স আল-আমীন স্যারের সাথে কথা হয়েছে। তিনি সকল মার্কেটের সভাপতির ফোন নম্বর যোগাড় করে নিয়ে যেতে বলেছেন।
সভাপতিদের সাথে কথা বলে কিভাবে দোকান খুলে দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা করবেন। এই আশ্বাসে আমরা প্রথমদিন সড়ক থেকে চলে যাই। কিন্তু এব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছি।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক অবরুধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এসময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলার আহ্বান জানাই। এছাড়া তাদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।