স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা বলেন, করোনা সংক্রমণ হয় মূলত নাক-মুখ বা চোখের মাধ্যমে। সংক্রমিত ব্যক্তির খুব কাছে এলে তার মুখ বা নাক থেকে ছিটকে আসা সামান্য কয়েকটা ফোঁটাও ছড়াতে পারে করোনা। ফলে অন্তত দু’মিটার বা ছয় থেকে সাত ফুট দূরে থাকতে হবে রোগীর থেকে, না হলে সংক্রমিতের শরীর থেকে ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে আর একজনের শরীরে।
করোনা আক্রান্ত কারও হাঁচি, কাশি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। সে কারণেই একে অপরের সঙ্গে মিটার দুয়েক দূরত্ব রেখে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে বারবার। পরতে বলা হচ্ছে মাস্ক। যাতে কারও শ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ভাইরাস ছড়ালেও তা ঢুকতে না পারে আর একজনের শরীরে।
তবে দু’মিটার দূরত্ব কেন রাখতে বলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বিশেষ করে যখন অনেকে বলছেন যে, করোনাভাইরাস আসলে বায়ুবাহিত? বিজ্ঞানীদের মত, বাতাসে থাকলেও এই ভাইরাস বেশি দূর এগোতে পারে না। সংক্রমিতের শরীর থেকে বেরিয়ে, তার দু’মিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। তার মধ্যেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে নিচে নেমে আসে ভাইরাস।
আর বাতাসে ঘুরে বেড়াতে পারে না। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে ভাইরাস। তার পরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই কারণেই কোথাও হাত দিলে বারবার সাবান আর পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে বলা হচ্ছে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেও বলা হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।