টানা ১৫ দিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগ করেছেন। কোনো কিছুতেই কমতি ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের দিন ভোট দিতে এসে দেখেন তার প্রতীক নেই। এতে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার গোওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের পুত্র মাইনু উদ্দিন। নছ কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। কমিশন থেকে তাকে বৈদুতিক পাখা প্রতীক বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ওই প্রার্থী তার নিজের প্রতীকের পরিবর্তে আপেল প্রতীকের পোষ্টার ছাপিয়ে নির্বাচনে জনসংযোগ শুরু করেন।
ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট ও সভা-সমাবেশে আপেল প্রতীক হিসেবে তার প্রচারণা চালায়। নির্বাচনের দিন সকালে তিনি ও তার সমর্থকরা আপেল প্রতীকে ভোট দিতে এসে দেখেন এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তার সমর্থকরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের দায়ি করেন।
পরবর্তীতে কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দের কাগজ পরীক্ষা করে দেখেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের পাশে তার স্বাক্ষর রয়েছে। তখন সবাই বুঝতে পারেন প্রার্থীর ভুলের জন্যই এমনটি হয়েছে। নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচনের ফলাফলে মাইনু উদ্দিন পান (বৈদ্যুতিক পাখা) ১৬০ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্ধি বাছির মিয়া (ফুটবল মার্কা) ১৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।