জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীর আপেল প্রতীকে সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে ভোটাররা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ওই মেম্বার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার মৌখিক আশ্বাসের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ সিল মারা ১০০ পাতার ব্যালট পেপার উদ্ধারের বিষয়টি এড়িয়ে যান কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।
জানা গেছে, কুসুম্বা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শালাইপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছিল। বেলা তিনটার দিকে ওই ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বুথে ভোটার জাহাঙ্গীর আলম সুজন ভোট দিতে গিয়ে সাধারণ সদস্যদের ১০০ পাতার ব্যালটে মেম্বার প্রার্থী ময়নুল হাসানের আপেল মার্কায় সিল দেওয়া দেখতে পান। পরে তিনি ওই বুথের পোলিং অফিসার গোলাম রব্বানীর কাছ থেকে ব্যালট বই কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রের বাহিরে আসে। জানাজানির পর তার কাছ থেকে ব্যালট বই নেওয়ার জন্য দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করলেও অন্য ভোটার এবং অন্য মেম্বার প্রার্থীরা বাধা দেন। পরে তারা মেম্বার প্রার্থী ময়নুল হাসানের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান। এ সময় ওই কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে ১৫ মিনিট ভোট বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মোরগ মার্কার মেম্বার প্রার্থী আজিজুল হক ও টিউবয়েল মার্কার মেম্বার প্রার্থী ভূপেন চন্দ্র মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, মেম্বার প্রার্থী ময়নুল হাসানের আপেল মার্কার সিলসহ ব্যালট বই পাওয়া গেছে। তার প্রার্থিতা বাতিল করা না হলে আইনি লড়াইয়ে যাব।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের কাছে ব্যালটে আগে থেকে সিল মারার বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না এবং আমি বলতেও পারব না।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।