নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় হাটের ইজারার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাটের ইজারার দরপত্র জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল আজ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কাইকারটেক হাট ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা পরিচালনা করে আসছিলেন। আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক সজল মিয়ার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিতে যান।
এরপর উপজেলা যুবলীগের সভাপতিপন্থী ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব, যুবলীগ কর্মীসহ ২০-২৫ জনের দল বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবুসহ ১২ জন আহত হন। অপরদিকে রফিকুল ইসলাম নান্নুর পক্ষের ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধানসহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ ও সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সেলিম মিয়া জানান, যুবলীগের সভাপতি নান্নুর সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে হাটটি পরিচালনা করে আসছিলেন। টেন্ডার জমা দিতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তিন জনকে কুপিয়ে আহত করে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।