ads
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

সেনাসদস্যকে বেধড়ক লাঠিপেটা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৪২ বার পঠিত

এক সেনাসদস্যকে লাঠিপেটা করার ঘটনায় করা মামলায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিত সেনাসদস্য রুহুল আমিনের চাচা মো. মাহফুজুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি হলেন আমদই ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহানুর আলম (৫০) ও একই ইউপির মীরগ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল ওহাব (৫২)। তাঁদের দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান। শাহানুর আলম আমদই ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গত বছরের পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাসদস্য রুহুল আমিনের বাড়ি আমদই ইউপির মীরগ্রামে। তিনি ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। প্রতিবেশী আবদুল ওহাবের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে রুহুল আমিনের বিরোধ চলছিল। গত বুধবার বেলা একটার দিকে চৌমুহনী বাজারের ওয়াহেদ আলীর দোকানের পেছনে রুহুল আমিন ও ওহাবের মধ্যে তর্কবির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই অপ্রীতিকর ঘটনার এক ঘণ্টা পর আবার সেখানেই তাঁদের দুজনের মধ্যে মীমাংসাও হয়। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে কল করে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে চৌমুহনী বাজারের তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আসতে বলেন। এরপর রুহুল আমিন তাঁর স্বজনদের নিয়ে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যান।

সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলম একটি ফাঁকা আপসনামায় স্বাক্ষর করতে রুহুল আমিনকে চাপ দেন। রুহুল আমিন ফাঁকা আপসনামায় স্বাক্ষর করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে বেতের লাঠি কেড়ে নিয়ে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রুহুল আমিন অজ্ঞান হয়ে যান। সেখান থেকে স্বজনেরা রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে বগুড়ার সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এরপর আজ সন্ধ্যায় জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর আলমকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেন। এ মামলার আরেক আসামি ওহাবকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বাদী মাহফুজুল হক আজ রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান আমার ভাতিজা রুহুল আমিনকে লাঠিপেটা করেছেন। সে গুরুতর আহত হয়ে বগুড়ার সিএমএইচে ভর্তি রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে মামলার বাদী করা হয়েছে।’

ওসি এ কে এম আলমগীর জাহান গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাসদস্যকে লাঠিপেটার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102