নোয়াখালীর চাটখিলে চাকরি দেওয়ার নামে ডেকে ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণের ঘটনায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা মো. ফুয়াদ আল মতিন (৩৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৭নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘আসামি ফুয়াদ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
সোমবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণ, এর ভিডিও ধারণ এবং ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখার ঘটনায় রবিবার রাতে চাটখিল থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে পিবিআইয়ের কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘চাটখিল উপজেলার পাল্লা বাজারে এক সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন পিবিআই কুমিল্লা ছাড়াও আশেপাশের ইউনিটগুলো তৎপর হয়। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত ফুয়াদ আল মতিন কুমিল্লা হয়ে ভারত পালিয়ে যাবে। ওই তথ্য পাওয়ার পর কুমিল্লার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে জানা গেছে, কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকার আবাসিক হোটেল আল-রাফিতে নাম পাল্টে মাসুদ রানা উল্লেখ রবিবার সন্ধ্যায় একজন কক্ষ ভাড়া নেয়। পিবিআই কুমিল্লার একদল সদস্য হোটেল আল-রাফির পাশে থেকে সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে।’
এর আগে, চাকরি দেওয়ার কথা বলে রবিবার সকাল ১০টায় ওই নারীকে পাল্লা বাজার কার্যালয়ে আসতে বলে ফুয়াদ। তার কথামতো সেখানে এলে কালক্ষেপণ করে। পরে নাশতার সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও ধারণ করে। ফুয়াদ আল মতিন উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তোরাব গ্রামের মতিন প্রফেসরের ছেলে।