নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে এক কলেজছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সাগর চন্দ্র দাশ (২৫)। সে উপজেলার বীরকোট গ্রামের মালিবাড়ির দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার সাগর চন্দ্র দাশকে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠান। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বীরকোট গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লিখিত অভিযোগে কলেজছাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কলেজে আসা-যাওয়ার সুবাধে কানকিরহাট বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী সাগরের সঙ্গে পরিচয় হয়।
এর সূত্র ধরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ৭ই ডিসেম্বর রাতে সাগর কৌশলে ঘরে ঢুকে তার এক চাচাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় তাকে বিয়ের কথা বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর গত ১৫ই জানুয়ারি স্থানীয় কানকিরহাট বাজারে সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে ছাত্রী উল্লেখ করেন, তিনি বিয়ের বিষয়ে অভিযুক্ত সাগর ও তার পরিবারকে বললে তারা নানা টালবাহানা শুরু করেন। তিনি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে তারা সাগরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এতে বাধ্য হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত সাগর এবং তার সহযোগীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় সাগর চন্দ্র দাশসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।