নারায়ণগঞ্জ শহরে কাঁচাবাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবে দাম বেশ চড়া। আগাম জাতের এই সবজির মধ্যে পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, গত বছর ১৫-২০ টাকা কেজি দরে পটল ও ২০ টাকা কেজিতে ঢেঁড়স কিনেছেন। বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজি এখনও ঠিকমতো বাজারে আসা শুরু হয়নি। এ কারণে দাম চড়া।
জানা গেছে, শহরের পাইকারি দিগু বাবুর বাজার থেকে আশপাশের স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি সরবরাহ করা হয়। তবে এই পাইকারি বাজারে বেশ চড়া দামে গ্রীষ্মকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে। পটল ও ঢেঁড়সের পাশাপাশি করলা বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ধুন্দুল ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, বরবটি ১শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সিম, বেগুন ও টমেটোর কেজি ৩০ টাকা এবং পেঁপের কেজি ২০ টাকা।
ক্রেতা রিফাত আহমেদ বলেন, ‘গত বছর ১২-১৫ টাকা কেজিতে পটল বিক্রি হয়েছে। আর ঢেঁড়স বিক্রি হয়ে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকায়। গত বছর এসব সবজি দিয়ে বাজার পরিপূর্ণ ছিল। আর এ বছর দাম শুনেই কেনার ইচ্ছা চলে গেছে।’
আরেক ক্রেতা মকসুদুর রহমান জাভেদ বলেন, ‘বাজারে নতুন সবজি দেখে কিনতে গিয়েছিলাম। তবে পটল ও ঢেঁড়সের দাম শুনে দোকানির সঙ্গে কোনও কথাই বলিনি।’
সবজি বিক্রেতা রাশেদ বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। আজ প্রথম পটল এসেছে। গত দুই দিন ধরে বাজারে ঢেঁড়স আসছে। এখন এসব সবজির আমদানি কম, তাই দামও বেশি। এখনও পুরোদমে সবজি সংগ্রহ শুরু হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যে কৃষকরা পুরোদমে সবজি সংগ্রহ শুরু করলে দাম কমে আসবে। গত বছরও এসব সবজির দাম কম ছিল। এবার দাম কিছুটা বেশি।’
আরেক সবজি বিক্রেতা আজাদ মিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে কোনও সবজির চাষ হয় না। আশেপাশের জেলা থেকে আসে। তবে এখনও গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসেনি। আগাম যেসব সবজি উঠেছে, সেগুলোর দাম বেশ চড়া। তবে অন্য মৌসুমের সবজির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।’