পটুয়াখালীর দুমকিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কার্তিকপাশা বাজারের হাওলাদার মেডিক্যাল হলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই জন হলেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নেছার মাহমুদ (২৭) ও লেবুখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন (৪৮)। তারা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত নেছার মাহমুদের দাবি, কার্তিকপাশা বাজারে আমাদের ওষুধের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে দোকানে যাই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুবলীগ নেতা মিজান মৃধা (৪৫), ফিরোজ মৃধা (৩৫), কাওসার ও জাহিদসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০-১২ জন লোক এসে হামলা চালায়। এ সময় আমাকে এবং আমার বড় ভাই সোহরাবকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও দাবি করেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপির আহ্বানে দুমকি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচিসহ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করার কারণে আমাদের কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনেও আমার ওপর হামলা করে তারা। এতে আহত হয়ে আমি পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।
আহত সোহরাব হোসেনের দাবি, আমাদের কুপিয়ে দোকানের মধ্যে ফলে রেখে যায়। তারা যাওয়ার সময় নগদ টাকাসহ দোকান থেকে অনেক ওষুধ নিয়ে গেছে।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনিরা আক্তার খানম জানান, দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মো. মিজান মৃধার দাবি, প্রথমে আমার ছোট ভাই ফিরোজ মৃধাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়েছেন নেছার। একজনকে চেয়ার দিয়ে পেটালে সে কী চুপ করে বসে থাকবে? এ ঘটনায় আমার ভাই ফিরোজও আহত হয়েছে। আপনি যুবলীগের কোন পদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয় না।
এ বিষয়ে জানতে দুমকি থানার ওসি আবদুস সালামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও পাওয়া যায়নি।