পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নে একটি স্কুলে শিক্ষকের কাছে খাতা জমা দিতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন, যা সোমবারও (১৪ মার্চ) অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত শনিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হরিপদ রায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে উত্তরপত্র জমা দিতে যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক তার শরীর স্পর্শ করেন। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী ছাত্রী বিদ্যালয় ত্যাগ করে। পরে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। রাতেই অন্য শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে শিক্ষার্থীরা অভিভাকসহ স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচারের দাবি জানায়। এ সময় স্থানীয় কয়েকশ’ অভিভাবক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তী রানী রায় বলেন, এলাকার লোকজন বিদ্যালয়ে এসে সহকারী শিক্ষক হরিপদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিলে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’
চাকলাহাট ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আরও যৌন হয়রানির আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হরিপদ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলিমদ্দিন শাহ বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষক হরিপদ রায়ের একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। এ প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে উপজেলা সহকারী দুই শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।