ads
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

কলেজ শিক্ষার্থী তনু হত্যার ৬ বছর আজ, তদন্তেই আটকে আছে মামলা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২
  • ৫৯ বার পঠিত

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছেন ৫ বার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও কোনো আসামি শনাক্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত তদন্তেই আটকে আছে মামলার কার্যক্রম।

এদিকে দীর্ঘ সময়েও তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, টাকা ও ক্ষমতা না থাকার কারণে তারা বিচার পাচ্ছেন না। পরিবারের ছোট সদস্যকে হারানোর বেদনায় এখনো কাতর তনুর বাবা-মা ও দুই ভাইসহ স্বজনরা।
২০১৬ সালের ২০শে মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউজের অদূরে কালভার্টের ২০ থেকে ৩০ গজ পশ্চিমে ঝোপ থেকে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১শে মার্চ বিকালে তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ২১শে মার্চ সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার প্রথম তদন্তের দায়িত্ব পান কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম। চার দিন পরে ২৫শে মার্চ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলমকে।

পরে ২০১৬ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ২৩শে আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম তদন্ত করেন। চতুর্থ দফায় ২০১৬ সালের ২৪শে আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে সিআইডি’র নোয়াখালী ও ফেনী অঞ্চলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জালাল উদ্দিন আহম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। চার বছর পর গত বছরের ২১শে অক্টোবর হত্যামামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর পিবিআই ৩ বার কুমিল্লা সেনানিবাসে এসে মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তাদের ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

গতকাল সকালে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সিআইডি’র মতো পিবিআইও জিজ্ঞাসাবাদে পুরোনো বিষয়ে ঘুরেফিরে একই প্রশ্ন করে। কখন তনু ঘর থেকে বের হলো। কোথায় কোথায় পড়াতে যেত। কার বাসায় যেত। এখনো ওরা ৫ বছর আগের অবস্থানে আছে। আর কতো জবানবন্দি দিতাম আমরা। বিচার নিয়া কি কইতাম? উপরওয়ালা বিচার করবে।’

মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে পিবিআই আমাকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি প্রশ্নের জবাব দিই। এর বাইরে আর কি বলার আছে? গরিব মানুষের টাকা নাই, পয়সা নাই। এই মামলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাঁচ বছর পেরিয়ে ৬ বছর হয়ে গেল, কই বিচার তো পাইলাম না।’

পিবিআই প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সিআইডি’র কাছ থেকে মামলার পুরো ডকেটটি নিয়ে তারা খতিয়ে দেখছেন। তারা ঘটনাটি অনুসন্ধানের এমন কোনো বিষয় আছে কি না, যা সিআইডি অ্যাড্রেস করেনি, তা যাচাই করছেন।
এ দিকে মেয়ে সোহাগী জাহান তনুর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালনে গত বুধবার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আসেন বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগমসহ তার স্বজনরা। তনুর মাগফেরাত কামনার্থে কবর জিয়ারত, কোরানখানি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102