বিক্ষোভে দমন-পীড়ন বন্ধ এবং পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বিএনপি অফিসের সামনে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু এবং প্রায় ৬০ জনের আহত হওয়ার প্রসঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ইয়ামিনি মিশ্র বলেন, এ ঘটনা প্রমান করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ মানুষের জীবনের প্রতি খুব কমই গুরুত্ব দেয়। বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনা এটাও প্রমান করে যে, যারা মানবাধিকার চর্চার সাহস করে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, বড় ধরনের বিক্ষোভ মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অতিরিক্ত বল প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। কেবল আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে ।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমরা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দমন-পীড়নের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি দেখেছি। রাজনৈতিক কর্মীদের গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে। আগামী বছরের সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি বাড়ছে।
এতে বলা হয়, প্রত্যেকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য। জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে দমন-পীড়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দায়মুক্তির অবসান ঘটাতে হবে এবং অবিলম্বে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও কার্যকরভাবে পুলিশ কর্তৃক অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনা তদন্ত করতে হবে। তাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাবেন।