ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুইটি বিভাগ ও মেডিক্যাল অফিসার পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিতব্য “মেডিক্যাল অফিসার”, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের “প্রভাষক” এবং বেলা ১১ টায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের “সহকারী অধ্যাপক” পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনিবার্য কারণবশতঃ স্থগিত করা হলো। উক্ত পদগুলোর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শুধুমাত্র অডিও ফাঁসের জন্য নিয়োগবোর্ড স্থগিত করা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। যেহেতু এতবড় একটা ঘটনা ঘটলো, সেহেতু আমরা শিক্ষক-কর্মকর্তা সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিবো। নিয়োগবোর্ড বাতিল করা হয়নি, স্থগিত করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গেলে নিয়োগ তো দিতেই হবে। আমরা সময় সাপেক্ষে নিয়োগবোর্ডের তারিখ দিবো।
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠসদৃশ একাধিক ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পরপর পাঁচটি ফোনালাপের অডিও পোস্ট করা হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। জিডি নাম্বার ৬৭২।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। এছাড়া শনিবার ভিসির পদত্যাগের দাবিতে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেন ‘অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদ’। তারা বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। তাদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এসময় তারা ভিসির অপসারণ দাবি করেন।