ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ বলছে, ‘অফিস পার্টি’ শেষে হোস্টেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার ওই তরুণীর চার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন নারী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সাফওয়ান লালমাটিয়ার ‘থিংকিং ক্র্যাফট’ নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক। ওই প্রতিষ্ঠানের আরও তিনজন মালিক আছে, যারা পলাতক বলে পুলিশের ভাষ্য।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী বেসরকারি একটি টেক্সটাইল কলেজে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি ‘থিংকিং ক্র্যাফট’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
“যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাতে অফিস পার্টি ছিল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পাশাপাশি পানীয় ছিল। ওই তরুণী পানীয় পান করেছে বলে তার সহকর্মীরা বলেছেন।”
ওই তরুণী লালমাটিয়াতেই একটি ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, পার্টি শেষ করে শুক্রবার ভোরে ছাত্রী হোস্টেলে ফিরে আসেন ওই তরুণী। কিছু সময় পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা বিভিন্নভাবে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভালো না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি আজাদ।
তিনি বলেন, “কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না-সে ব্যাপারে জানতে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
ওসি আজাদ বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মদ ও বিয়ারের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।”
ওই তরুণীর বাবা এই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
#বিডিনিউজ