ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল হামাসের হামলার পর চরম তোপের মুখে পড়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (৭৩)।
এই মুহূর্তে নিজ দেশের মানুষের কাছেই কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তাকে। হামাসের আক্রমণে সরকারের ব্যর্থতার কথা বারবার স্মরণ করাচ্ছে ইসরাইলিরা। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নিজেদের মন্তব্যে।
অনেক ইসরাইলি মনে করছেন, তারা নিজ সরকারের দ্বারাই ধোঁকার শিকার হয়েছেন। কেননা, সরকার তাদের একাধিকবার আশ্বস্ত করেছে গাজা থেকে হামলার কোনো হুমকিই ছিল না।
অপরদিকে হামাসের এ হামলার পূর্বাভাস আগেই পেয়েছিল মিসর। সেসব তথ্য তারা ইসরাইলকে আগেই জানিয়েছিল এবং সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছিল।
মিসর বলেছিল, গাজায় বড় কোনো কিছু হতে পারে। তবে সরকার বিষয়টিকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। যদিও নেতানিয়াহু এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সিএনএন।
অনেক বিশ্লেষকদের মতে, ব্যর্থতার ফলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিদায়ঘণ্টা বাজতে পারে।
ইসরাইলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ লিখেছেন, ‘হলোকাস্টের পর একদিনে এত বেশিসংখ্যক ইহুদি আর কখনো প্রাণ হারাননি। এ অবস্থায় আপাতত ইসরাইলের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছে না।’
ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, ‘কাকে দায়ী করা হবে, তা নিয়ে এখন তারা আলোচনা করছেন না। কারণ, এখন এই আলোচনার সময় নয়।’
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়, তবে সেই সময় বেশি দূরে নয়। ইসরাইলের প্রধান রাজনৈতিক ভাষ্যকার অমিত সেগালের মতে, এ ঘটনার পর নেতানিয়াহুর প্রধানমন্ত্রিত্ব যদি টিকে যায়, তাহলে তিনি অবাকই হবেন। আর তেমনটা হলে তা একটি নজির স্থাপন করবে।