যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে ৩৬ একর জায়গাজুড়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে মার্কিন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সংঘর্ষ, পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার, বহিষ্কার কোনো কিছুই আটকাতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের। এমনকি শনিবার রাতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলিও ছুড়েছে পুলিশ, তবে এতে কেউ আহত হননি।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বরাতে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গিয়ে ঘটনাচক্রে একজন পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছেন। পাশের একটি দেয়াল থেকে গুলিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, মূলত কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটন ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিক্ষোভকারীদের সরাতে আসে পুলিশ। সে সময় একজন পুলিশ সদস্যের অস্ত্র থেকে দুর্ঘটনাবশত গুলি বের হয়। তবে এতে কেউ আহত হননি। পরবর্তীতে সেই ক্যাম্পাস থেকে শখানেক বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রথম আন্দোলনে নামেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। এরপর দেশটির ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবাইকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীসহ কিছু প্রতক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, পুলিশের আচরণ ছিল আক্রমণাত্মক। যদিও নিউইয়র্ক পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্নাতক চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষার আর কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এই সময়ে সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খোলা থাকবে এবং সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।