বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, মানুষ আজ শান্তিতে নেই। কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। অতিষ্ঠ জনগণ আজ বিএনপিকে আস্থার স্থল মনে করে। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দলকে আরও সুসংগঠিত করে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সঙ্গে জোন ভিত্তিক থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জোন- ২ এর মতবিনিময় সভা হয়।
সালাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়নি। পরাজিত হয়েছে সরকার। তাই রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। এ আওয়ামী লীগের কোনো নৈতিকতা নেই। জনগণের কাছে নেই কোনো দায়বদ্ধতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই সংগঠনকে ইস্পাতের ন্যায় শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে কারাগারে যাননি। রশি বেশি টাইট করলে যেমন ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি অত্যাচারিত হতে হতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। তাই এখন প্রয়োজন সম্মেলিতভাবে নির্ভয়ে রাজপথে নামা। বারবার মরার চেয়ে একবার মরা ভালো। তবু দেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে।
সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ভয়কে বিএনপি জয় করতে শিখেছে। বিএনপি এখন ভয় পায় না। ভয় পায় আওয়ামী লীগ। তাই আমাদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশও সরকার ভয় পায়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাইরে থাকলে আতঙ্কে থাকে। এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এরা জানে যেকোনো সময় এদের পতন হবে। তাই সর্বক্ষণ তারা ক্ষমতার হারানোর ভয়ে অস্থির থাকে।
সভায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জোন-২ এর সমন্বয়ক ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, শামসুল হুদা কাজল ও নাদিয়া পাঠান পাপনসহ আরও অনেকে।