সব ধরনের জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ভিসা পেয়েছেন ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। সোমবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভিসা হাতে পান তিনি।
কলকাতায় আনারের দেহাংশ সন্দেহে যে মাংসপিণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে, এর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ডরিনকে কলকাতায় যেতে হচ্ছে। এতদিন ভিসা জটিলতায় তার যেতে দেরি হচ্ছিল।
এদিকে এমপি আনারের বাড়ির সামনে তেমন কাউকে দেখা যায়নি। স্বজন বা দলীয় নেতাকর্মীদের ছিল না কোনো কর্মসূচি।
এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আমি ও এমপির কন্যা ডরিন একসঙ্গে ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে ভিসা সংগ্রহ করেছি। ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে এখন আমরা ভিসা পেয়েছি ফলে প্রশাসনের নির্দেশনা পেলেই যেকোনো মুহূর্তে যাওয়ার প্রস্তুতি আছে। আমরা এখন সবাই ঢাকায় আছি।
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি আমরা আস্থাশীল।
কালীগঞ্জ পৌরসভা মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম জানান, আমাদের একটাই দাবি, এমপি আনার নিখোঁজ থাকলে সন্ধান চাই, খুন হলে আলামত চাই’।
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা তেমন কিছুই বলতে পারছি না। তদন্তকারী কর্মকর্তারাই বলতে পারবেন বর্তমানে অগ্রগতির কি অবস্থা। তবে দুই-তিন দিন পরে আমরা আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবো।
প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে কলকাতা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানায়, এমপি আনারকে কলকাতায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিকরাই জড়িত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
হত্যাকারী সন্দেহে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এই হত্যার বীভৎস বর্ণনা। আনারের দেহাংশের টুকরোর খোঁজে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় এখনো অভিযান চালানো হচ্ছে।