বলিউডে সাফল্যের সঙ্গে বনিবনা হয় না অনেকদিন। তবে ভোটের মাঠের চিত্র ব্যতিক্রম। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন ভারতের জাতীয় নির্বাচনে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজের করে নিয়েছেন সংসদ সদস্যের চেয়ার। তারপর বড় এক হোঁচট খেলেন কঙ্গনা রণৌত। নির্বাচিত হওয়ার পর দিল্লীতে পা রাখতেই খেলেন চড়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঙ্গনা গতকাল বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে এসেছিলেন বিমানে উঠতে। দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে এক মহিলা CISF জওয়ান তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাকে চড় মারেন। এর পরে কঙ্গনার সঙ্গে থাকা একজন পালটা চড় মারেন ওই জওয়ানকে।
জানা গেছে ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। আক্রমণাত্মক টুইট করেছিলেন। তখন থেকেই অভিনেত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই জওয়ান। এবার বিমানবন্দরে দেখা পেতেই মেটালেন মনের ঝাল।
এদিকে চড় খেয়ে কঙ্গনাও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সিকিওরিটি চেকের সময়ে ঘটেছে। চেক করে যেই বেরিয়েছি, তখন অন্য কেবিনে যে নারী ছিলেন, যিনি ওই কেবিনের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন, সেই CISF জওয়ান মহিলা, উনি পাশ থেকে এসে আমার মুখে মারেন। গালি দিতে শুরু করেন।’
মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ের মালা পরেছেন কঙ্গনা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংয়ের পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ পোক্ত। মা-বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। ভোটের আগে অনেকের ধারণা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীর টিকিটি ছুতে পারবেন না। তবে ভোটের হিসাব বলেছে অন্য কথা। বিক্রম ধরাশয়ী হয়েছেন নায়িকার কাছে।