অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় কাগজপত্রের প্রমাণ দরকার হয়। এ ছাড়া অনুসন্ধানের বিষয় থাকে, তাই একটু সময় লাগে।
রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা চলবে।’
দুর্নীতির মামলা নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টে দীর্ঘ সময় লাগার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করে। হাইকোর্টে দুদকই মামলা পরিচালনা করে। আমাকে ডাকলে আমি যাই। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সব কিছুই আমরা করব।
তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলা প্রথমে বিচারিক আদালতে শুনানি হয়। এটা মুখের সাক্ষী দিয়ে প্রমাণ হয় না, কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হয়। এ কারণে কাগজপত্র নিয়ে মামলা করতে সময় লাগে। দুর্নীতির মামলা তদন্ত প্রক্রিয়াটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসাবে দুর্নীতির সব মামলাতেই পদক্ষেপ নেব।
দুর্নীতির মামলায় দুদক ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই অনেকে দেশ ছাড়ছেন, এ বিষয়ে দৃষ্ট আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আপিল বিভাগ একটি মামলায় রায় দিয়েছেন দুদক কারও বিষয়ে মনে করলে বিদেশ যাত্রা আটকে দিতে পারবে। তবে তিনদিনের মধ্যে দায়রা আদালত থেকে আদেশ আনতে হবে। আমি মনে করি যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকেরই হিসাব নেওয়া উচিত। স্বচ্ছতার জন্য সরকারের যে কোনো পর্যায়ে কাজ করেন বছর বছর দেওয়াটা নিজের জন্য সুবিধা।
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কি না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমন একটি স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা উচিত ছিল। আসামিরা অনুকম্পা পেতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।