চলমান সংকট নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশ।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে একটি দল প্রবেশ করেন।
বৈঠকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নাম পরিবর্তনের দাবি জানায় গণঅধিকার পরিষদ। পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি দেশের এসপি-ওসিসহ প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের দাবি করেছেন দলটির নেতার।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের নুরুল হক নুর বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব একজন জাতীয় নেতা ছিলেন। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বা কারও ভালোবাসা থাকতে পারে। কিন্তু এখন দেশের যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিতে যদি ধানমন্ডিতে শো-ডাউন করার প্রস্তুতি নেন, গোপালগঞ্জে আস্ফালন দেখানোর চেষ্টা করেন, তাতে এই দিকের ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা… স্বাভাবিকভাবেই রাস্তার যে পরস্থিতি আপনারা দেখেছে…প্রাণ নিয়ে আপনারা ঘরে ফিরতে পারবেন না।
শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের কথা না ভেবে পালিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রধান নেত্রী পালিয়ে গিয়েছেন। সেই নেত্রীর ছেলে বলেছেন যে তিনি দলের কথা ভাবছেন না। তিনি তার মা-পরিবারের কথা ভাবছেন।
আপনারা যদি কারও উস্কানিতে রাস্তায় নেমে কোনোপ্রকার নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা করেন…শেখ হাসিনা তো পালাতে পারছে, আপনারা কিন্তু পালাতে পারবেন না।
নুর বলেন, একদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, একদিকে সেনাবাহিনী, একদিকে আমরা জনগণ; তাই, কোনোপ্রকার নৈরাজ্য করার দুঃসাহস আপনারা দেখাবেন না। আমরা চাই, যারা আছেন ক্ষমা চেয়ে আপনারা ভালো হয়ে যান, শান্তিপূর্ণভাবে দেশে থাকেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে থাকলে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ও সরকার মিলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আপনাদেরকে হুঁশিয়ার ও সাবধান করে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আপনাদেরকে গত চার-পাঁচ বছর ধরে বলছিলাম যে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে। ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমানও হয়তো প্লেনের চাকা ধরে পালাতে পারবে। কিন্তু আপনাদেরকে এই দেশে থাকতে হবে। তাই আপনারা এমন কিছু কইরেন না যে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে আপনাদের অবস্থা খারাপ হয়। আপনারা শুনেন নাই। এখন জনগণ আপনাদেরকে পাইলে কী করবে আল্লাহ মাবুদ জানে।