তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় বে-আইনিভাবে পরিবর্তন করার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম দণ্ড বিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় এ মামলা করেন।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মইনুল হোসেন মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন।
মামলার এজহারে মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে একটি সংক্ষিপ্ত রায় প্রদান করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে এই রায়ে মত দেওয়া হয়।
প্রায় ১৬ মাস পর এ. বি. এম. খায়রুল হক এই সংক্ষিপ্ত রায় উপেক্ষা করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় লিখেন এবং বিচারপতি মোহা. মোজাম্মেল হোসেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দূর্নীতিমূলকভাবে সম্মত হয়ে পূর্নাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করে রায়টি প্রকাশ করেন।
মুজাহিদুল ইসলামের মতে, উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে কথায় প্রভাবিত হয়ে ও অবসর পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভে শেখ হাসিনাকে খুশি করতে খায়রুল হক সংক্ষিপ্ত রায়টি পরিবর্তন করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করেন।
এজহারে তিনি আরও বলেন, এ.বি.এম খায়রুল হক বে-আইনি রায়ের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয় এবং পরে পাতানো ও একতরফা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ভোট কারচুপি করে শেখ হাসিনাকে পরপর তিনবার বে-আইনিভাবে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেয়। যে কারণে অবসরের পরে পুরস্কার স্বরূপ শেখ হাসিনা তাকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান করেন ও তার পদত্যাগের পরে খায়রুল হকও পদত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ১০ মে হাইকোর্টের দেওয়া সংক্ষিপ্ত রায়ের মৌলিক অংশ খায়রুল হক বেআইনিভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। যা আইনত জাল বা অসত্য ডকুমেন্ট প্রস্তুতের জন্য দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।