মেহেদী হাসান মিরাজ না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে যাচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
১৭১ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করেছে বাংলাদেশ। লিটনকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে হাসান মাহমুদ অপরাজিত আছেন ২ রানে।
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ শুরু থেকেই চাপে পড়ে। অল্পের জন্য জাকির হাসান বেঁচে যান আবরার আহমেদ ক্যাচ ধরতে না পারায়। তার সামান্য সামনে পড়ে বল, যদিও উদযাপন করে ফেলেছিলেন আবরার। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট হয়, বল আগে পড়েছিল মাটিতে।
এরপর জাকির আরও একবার সুযোগ পান। মীর হামজার বল জাকিরের প্যাডে লাগে, জোরালো আবেদনও হয়; কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেয়নি পাকিস্তানও। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, স্টাম্পে আঘাত হানতো বল।
পরের ওভারে এসেই অবশ্য জাকিরের উইকেট তুলে নেন খুররাম শেহজাদ। সেই আবরার আহমেদের হাতেই মিড উইকেট অঞ্চলে ক্যাচ দেন ১৬ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারের প্রথম বলে সাদমান ইসলামকে বোল্ড করেন খুররাম।
দুই বল পর একই ভাগ্য বরণ করতে হয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। স্রেফ ৫ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে বাংলাদেশকে পাহাড়সম চাপে ফেলে দেন খুররাম। পরে যত সময় গড়িয়েছে, তত সেটি বেড়েছে।
উইকেটের দেখা পান সকাল থেকে দারুণ বল করা মীর হামজাও। ২ বলে কোনো রান করার আগেই তার লেগ স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অনে সহজ ক্যাচ দেন মুমিনুল।
অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানও পারেননি দলের হাল ধরতে। ৯ বলে ৩ রান করে মীর হামজার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক। খুররামের বলে এলবিডব্লিউ হন ১০ বলে ২ রান করা সাকিব। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় ভেঙে পড়াটাই ছিল অনেকটা অনুমিত দৃশ্য। কিন্তু সেটি বদলে দেওয়ার কাজটি করেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের জুটিতে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর এসে দুজন হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন।
তাদের জুটি দেড়শ ছাড়ালে রেকর্ড গড়ে ফেলে। ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৫০ রানের জুটি হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই। কিন্তু রেকর্ডের রানকে আর খুব বেশি বড় করতে পারেননি মিরাজ। খুররাম শেহজাদের কিছুটা লাফিয়ে উঠা বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। ১২৪ বলে ৭৮ রান করেন মিরাজ।
এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাসকিনও। ৫ বলে ১ রান করে এলবিডব্লিউ আউট হয়েছেন খুররামের পরের ওভারে। এরপরই চা বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের আশা হয়ে আছেন এখন লিটন দাস। ১৭২ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। আবরার আহমেদকে চার মেরে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি।