কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মায় ভাঙনের পর ভারতের দখলে থাকা ২০০ একর জমি ফেরত পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের জমির মালিকরা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিবাদমান ওই জমি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই জমি পুনরায় জরিপ করে মালিকানা প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সাক্ষাতে উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সু-সম্পর্ক এবং সহযোগিতার মনোভাব বজায় রেখে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এর মধ্যে চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারি চল্লিশপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৫৭/এমপি হতে ৮৫/১০-এস এলাকায় উভয় দেশের সার্ভেয়ার এবং বিজিবি-বিএসএফ সীমানা পরিমাপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের জমি ভারতের অভ্যন্তরে আনুমানিক ২০০ একর এবং ভারতের জমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৪০ একর বিদ্যমান রয়েছে। এই জমি আগামী অক্টোবরে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার এবং বিজিবি-বিএসএফের উপিস্থিতিতে জমির প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য হস্তান্তর/গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা একমত পোষণ করেন।
এ ছাড়াও সীমান্তের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ভারত হতে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য এবং নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করা, বিএসএফ কর্তৃক নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্ত হতে আটক না করা এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় সীমান্তবর্তী জনসাধারণ অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে পূজামণ্ডবে আসতে না পারে সে ব্যাপারে আলোচনা হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান। অপরদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪৬ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং। শেষে উভয় দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সৌজন্য সাক্ষাত শেষ হয়।
ইত্তেফাক