২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ টঙ্গী আরবান প্রোগ্রামের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষন জোট (বিএনসিএ) ও নদী বাচাঁও আন্দোলন এর সহযোগীতায় টঙ্গীতে “নির্মল বায়ু নিশ্চিত এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করণীয়” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহন করে গাজীপুরের সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ টঙ্গী আরবান প্রোগ্রাম এর এলাকা ব্যবস্থাপক মানস বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এর সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আহমেদ, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাংবাদিক কালিমুল্লাহ ইকবাল।
মূল প্রবন্ধে ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন “এখনই উপযুক্ত সময় এলাকা ভিত্তিক বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ এবং পানি দূষণের উৎস চিহ্নিত করা এবং কাদের প্রত্যক্ষ মদদে এগুলো হচ্ছে তা বের করে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা বা কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসা। কোন সমস্যাই একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়; স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহনের মধ্যমে উদ্ভুত সমস্যা সমূহের সমাধান করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বায়ূদুষিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। মানুষের কার্যক্রমগুলো ধীরে ধীরে পৃথিবীকে উত্তপ্ত তুলছে, তার মধ্যে বায়ু দূষন এর অবদান সবচেয়ে বেশী। বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন একই মুদ্রার দুটি পিঠ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রন করা গেলেই জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।
আইইউবিএটি এর সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আহমেদ পরিবেশ রক্ষার্থে বেশ কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পরিবেশ উন্নয়নের জন্য সবুজ সাংবাদিকতা বা পরিবেশ সাংবাদিকতা অপরিহার্য। শিল্পায়ন জরুরী কিন্তু তা হতে হবে দূষণমুক্ত, গতানুগতিক উন্নয়ন না করে টেকসই উন্নয়ন দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবহন খাতে উন্নয়ন আনতে হবে ফিটনেস বিহীন গাড়ি গুলো বায়ু দূষণ বেশী করে এবং ট্রাফিক জ্যামে জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি বায়ু দূষণ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাংবাদিক কালিমুল্লাহ ইকবাল বলেন, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমাদের দেশে কয়েক হাজার নদী দখল ও দূষনকারী রয়েছে তাদের বেশীরভাগকেই আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। নদীমাতৃক দেশে পরির্বতন করতে চাইলে আগে নদী বাচাঁতে হবে। নিজ জায়গা থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসরে পরিবেশ সংরক্ষণ করা একটি অন্যতম উপায় বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ টঙ্গী আরবান প্রোগ্রাম এর এলাকা ব্যবস্থাপক মানস বিশ্বাস বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সামাজিক গঠনমূলক কাজের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিযোজন নিয়ে কাজ করছে। সকলের সহযোগিতাই পারে একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে। পরিশেষে তিনি এত সুন্দর আয়োজনে সকলে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে কর্মশালাটির সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহকারী কিভাবে বায়ুদূষন কমানো যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করণীয় বিষয়ে কিছু একশন প্লান করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন এর মাধ্যমে উন্মুক্ত আলোচনা এবং পরিবেশ নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।