মুলাদীতে বিদ্যালয়ে না গিয়েও সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন এক অফিস সহকারী। বাটামারা ইউনিয়নের জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রওশন আরার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। রওশন আরা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর অনিয়ম উল্লেখ করে মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা।
স্থানীয় অভিভাবকেরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে রওশন আরাকে জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। রওশন আরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম সরদারের আপন ছোটভাই জহিরুল হক সরদারের স্ত্রী। নিয়োগের সময়ও প্রধান শিক্ষক অনিয়ম করেছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল। নিয়োগের পর থেকে রওশন আরা বিদ্যালয়ে যাননি। তিনি বিদ্যালয়ে না গেলেও প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, অফিস সহকারী নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। রওশন আরার পারিবারিক সমস্যা থাকায় বরিশাল অবস্থান করায় বিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। তার স্থলে তাসলিমা নামের একজনকে বেতন দিয়ে অফিসিয়াল কাজ ও ৬ষ্ঠ খেকে ৮ম শ্রেণিতে পাঠদান করানো হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে চাকরি না করে সরকারি বেতন-ভাতা নেওয়ার বৈধতা নেই।
ইউএনও মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।