ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি সহ সিলেট আওয়ামীলীগের ৪ নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ।
এদিকে, ঘটনাটি দ্রুত সিলেটের সহনীয় সংবাদ মাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, এনিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায় নেটিজনেরা। এনিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহনীয় আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, ঘটনাটি সত্য হলে খুবই দুঃখজনক ও বিব্রত কর। গ্রেফতারকৃত অপর এই দুই নেতা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কলকাতা, শিলং ও সিলেটের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। রোববার দুপুরের দিকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ।
এর পর রোববার রাতেই তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে। শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামীলীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের অবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটেছে।
এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানার ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু। সূত্রমতে, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ।
পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে শুরু করেন তদবির। এর পর তাদের তদবিরে মামলার এজহারে নাম না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে।