বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ কলেজছাত্র নুরুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
বগুড়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুয়েল পারভেজ এ তথ্য জানান।
আহত নুরুল্লাহ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাইফুর রহমানের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে শহরের জামিলনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি কাহালু সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত নুরুল্লাহর ভাই নিয়ামুল হাসান মন্ডল জানান, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারি আজিজুল হক কলেজের সামনে নুরুল্লাহর মাথায় গুলি লাগে। পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, সেখানে সার্জারি ওয়ার্ডে অপারেশন থিয়েটারে তার ভাইয়ের মাথা থেকে গুলি বের করেন চিকিৎসকরা। মেডিকেল প্রশাসনের জটিলতার কারণে হাসপাতাল থেকে তাকে শহরের হেলথ সিটি ক্লিনিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার সাত থেকে আট দিন পর নুরুল্লাহকে বাসায় নেওয়া হয়।
নিয়ামুল বলেন, নুরুল্লাহ বেশ সুস্থ ছিলেন। শেষ অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সোমবার রাতে তার মাথা ব্যথা শুরু হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে দুপুরের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নেওয়া হয়।
বগুড়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুয়েল পারভেজ বলেন, বগুড়া এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ আল মামুনের সার্বিক সহযোগিতা ও নির্দেশনায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আহত নুরুল্লাহকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।