ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে মধ্যরাত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রাম এ সংঘর্ষ। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের ৩০ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে মধ্যরাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
বালাপাড়া গ্রামে সেলিম শাহ জানান, দীর্ঘ বছর ধরে তারা সরকারী বন্দোবস্তের ২ একর ৭৫ শতক জমি বাবা দাদার আমল থেকে ভোগ করে আসছে। এই বন্দোবস্তের জমি একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম ৬ আগষ্টের পর তার জমির সম্মুখভাগে হওয়ায় জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২ দিন আগে আমিরুল সমর্থকরা তার পক্ষের মোজাম মন্ডল ও চান মন্ডল নামের দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর তারা আরো হামলার প্রস্ততি নেয়্। এ নিয়ে তিনি ও তার সমর্থকরা শনিবার রাতে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনায় বসে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলোচনা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আমিরুল সমর্থকরা পূনরায় তাদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন। হামলার সাথে সাথে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
হামলায় রাশেদ শাহ, জানারুল শাহ, মশিউর মন্ডল, আনোয়ার সদ্দার, মোয়াজ্জেম শাহ, ঝন্টু মোল্যা, রিগান খাঁ, সোহান মন্ডল, মনিরুল মোল্যা, রাজন খাঁ, আজিজুল মন্ডল, মিন্টু মন্ডল, সাহেব আলী, সাদ্দাম, হোসেন, হাসিব শেখ ও মানফুল শেক সহ ৩০ ব্যক্তি আহত হয়।
সেলিম শাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আমিরুল ইসলাম বলেন, সরকারী বন্দোবস্তের জমিটা তার দালিলিক সম্পত্তির সামনে। এ জমিটা দীর্ঘ বছর ধরে তারাই ভোগদখল করে আসছে। মাঝে মাঝে সেলিম শাহ দখলের চেষ্টা করে এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়।
সংঘর্ষ নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে শৈলকুপা মির্জাপুর ইউনিয়নে দুইদল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয় বলে জানান।