টানা ৬ বছর সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদ ঘটে কলকাতার জনপ্রিয় তারকা জুটি জিৎ-স্বস্তিকার। তবে সম্পর্ক ভাঙার পরও সম্মান দেখিয়েছেন দুজন দুজনের প্রতি। কেউ কাউকে নিয়ে কখনও কটু কথা বলেননি।
তবে দীর্ঘদিন পর গত বছর জিতের জন্মদিনে উইশ করতে গিয়ে সবার সামনে অভিনেতার প্রতি ভালোবাসার কথা স্বীকার করেন অভিনেত্রী।
হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানান, পরিবার চেয়েছিলেন তাদের বিয়ে হোক। তবে বিচ্ছেদের পর তার পরিবারও বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে তার মেজো বোন অজপা কেঁদে ফেলেছিলেন, আর তার মেয়ে অন্বেষা মায়ের সিদ্ধান্তে অভিমান করেছিলো।
খানিকটা মজার ছলেই জিতের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন স্বস্তিকা। তিনি জানান, মেয়ের সঙ্গে জিতের বন্ডিং ভাল ছিলো। তারপর মেয়ে যত বড় হয়েছে, জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে মাকেই কথা শুনিয়েছে।
অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘এখনও যে সম্পর্ক নিয়ে ওর অসুবিধা নেই, সেটা হলো জিতের সঙ্গে সম্পর্ক। ৬ বছর আমরা একসঙ্গে ছিলাম। আমার মেয়ে তো ওই সম্পর্ক নিয়ে আমাকেই দোষারোপ করে। বলে, আমিই নাকি সম্পর্ক শেষ করেছি। মাঝেমধ্যে বলে, কী কারণে সম্পর্ক ভেঙেছে জানি না কিন্তু যাই হোক, এর জন্য আমি তোমাকে ক্ষমা করব না।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মা-বোনও সবসময় জিতের পক্ষই নিয়েছে। ওরা চেয়েছিল আমরা বিয়ে করি। আমার বোন তো কেঁদে ভাসিয়েছিল সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার কথা শুনে। ও (মেয়ে অন্বেষা) জিতের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। যখন বড় হলো, ওর দাবি ছিল- জিৎ খুবই সুপুরুষ। মা তুমি এটা কী করলে।’
সম্পর্ক নিয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমার সিরিয়াস ৬টা সম্পর্ক ছিলো। সেটাই মনে হয় ৬০০টা। কিন্তু আসলে সংখ্যা ৬টা।’
২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল, দীর্ঘ ৪ বছর কাজের সুবাদে তারা একে অন্যের প্রেমে পড়েন। তারকা জুটির কাজ দর্শক জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল বেশ। অনেক হিট ছবিও উপহার দিয়েছেন তারা।
জানা যায়, স্বস্তিকার সংসার ভাঙার পর ‘মাস্তান’ ছবিতে কাজ করেছিলেন জিতের বিপরীতে। সেখানেই তাদের বন্ধুত্ব হয়। যা পরে প্রেমের পরিণতি পায়। পার্টি থেকে ছবির প্রচার, সব জায়গাতেই একসঙ্গে যেতেন। অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গেও তার দারুণ সম্পর্ক ছিল জিতের।
সেই সম্পর্কে পরে ইতি টানেন দু’জনেই। পথ আলাদা হয়ে যায় টলিউডের জনপ্রিয় এই দুই তারকার।
তবে কী কারণে জিতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছিল, তা জানা যায়নি। পরেও কেউ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। জিত এই ঘটনার কয়েকবছর পরই বিয়ে করেন।