ads
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

এলজিইডির ৩৬ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান: ১৯০৯ কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ৩১ বার পঠিত

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হেডকোয়ার্টারসহ ৩৬টি কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি ইমারজেন্সি অ্যান্ড রেসপন বা ‘বি-স্ট্রং’ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে এই অভিযান চালান সংস্থার এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় বরাদ্দকৃত ১৯০৯ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদক।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০২৪ সালের বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি জেলা ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য বরাদ্দকৃত ১৯০৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই এর নানা খাতে অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযান শেষে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা জানান, ‘প্রকল্পটির বিভিন্ন খাতে অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রমাণ মিলেছে। আমরা অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। প্রকল্পটি ২০ এপ্রিল একনেকে অনুমোদিত হলেও এখনো বাস্তব কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে আগেই বিভিন্ন সরঞ্জামের মূল্য অতিরিক্ত দেখানোর অভিযোগ উঠে।’

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত স্ট্রিট সোলার লাইটের প্রতি ইউনিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা। অথচ পরিকল্পনা কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এমন সোলার লাইটের প্রয়োজন নেই। প্রকল্পে ৬০টি মোটরসাইকেলের প্রস্তাব করা হলেও কমিশন থেকে মাত্র ৩৬টি ক্রয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষাপণ্য, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ অন্যান্য খাতে যেভাবে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তা অনিয়মের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো, মাত্র চারটি ল্যাপটপের জন্য ১১ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব, যা সন্দেহ সৃষ্টি করেছে দুদকের তদন্তকারীদের মধ্যে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক এবং বাকি অর্থ জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।

এ প্রসঙ্গে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে ঢাকার বাইরে রয়েছেন। প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি; শুধু একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।’

প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বরখাস্ত করা হয়। যেখানে অনিয়ম প্রমাণিত, সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102