নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করলে হট্টগোল দেখা দেয়। এ অবস্থায় বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নূরেছা দুঃখিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে গেলে এ ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নানি বাদী হয়ে শিক্ষক সাইকুল ইসলাম ওরফে চান মিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ি একই ইউনিয়নের জুড়াইল গ্রামে। তবে সে দীর্ঘদিন ধরে নানার বাড়ি বসবাস করে স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আসছিল।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সাইকুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) দুঃখিয়ারগাতী গ্রামের নজব আলীর ছেলে। তিনি নূরেছা দুঃখিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি প্রতিদিন রাত ৮টার দিকে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন দুর্বল শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছিলেন। ভুক্তভোগী শিশুটিকে প্রতিদিনই তার নানি প্রাইভেটে নিয়ে যেতেন আবার বাড়িতে নিয়ে আসতেন।
ঘটনার দিন গত সোমবার রাত ৮টার দিকে শিশুটিকে তার নানি প্রাইভেট পড়তে বিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে প্রাইভেট শেষে শিক্ষক নিজেই তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেবেন বলে জানান। তাই তার নানি শিশুটিকে প্রাইভেটে রেখে বাড়ি চলে যান। পরে ভুক্তভোগী শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানায়।
তবে এ বিষয়ে শিক্ষক সাইকুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পূর্বশত্রুতার জেরে এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর কাইউম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস রহমানসহ তিনি নিজে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলেও জানান।