যশোরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী।

শুক্রবার (৩০ মে) থেকে রোববার (১ জুন) তিনদিনের মানবিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলা বিএনপির লালদিঘির পাড়স্থ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। সকাল ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এরপর জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অংশ নেন। পরে তারা শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে ছাতা, শিশুদের স্কুলব্যাগ, খাবারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন এবং স্থানীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া ও খাবার বিতরণে অংশ নেন। এরপর তিনি খড়কি, বেজপাড়া, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকার কর্মসূচিতে যোগ দেন। অধ্যাপক নার্গিস বেগম ঘোপ ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরে অন্যান্য ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে যান।
শনি ও রোববারও জেলার বিভিন্ন উপজেলাজুড়ে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসব অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির চেতনায় একজন মহানায়ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিটি আন্দোলনে তার আদর্শ ও কর্ম আজও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম এবং নেতৃবৃন্দ অ্যাডভোকেট মো. ইসহাক, মিজানুর রহমান খান, মারুফুল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, আনিছুর রহমান মুকুল, এহসানুল হক সেতু, তমাল আহমেদ, আনসারুল হক রানা, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রাজিদুর রহমান সাগর, ওমর ফারুক তারেক ও কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।