এবারের বন্যায় শেরপুর জেলায় মৎসচাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মৎসচাষীরা পড়েছে বেকায়দায়। অনেক চাষী ব্যাংক ঋণ ও দাদন ব্যবসায়ীদেও কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মাছের চাষ করলেও তাদের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। এতে দিশেহারা এসব চাষীরা।
জেলা মৎস বিভাগ সূত্রে জানাযায়, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুর জেলার ৫২টি ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত ২৪টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে দেড়শতাধিক গ্রাম। বন্যার পানিতে ডুবে যায় এসব এলাকার পুকুর, নালা ও মৎস খামার। বন্যার পানিতে জেলার ৬শ ৬৫টি পুকুর, দীঘি ও খামার তলিয়ে যায় এবং মাছ ও পোনা বের হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৫শ ৬৫জন মৎসচাষী। এসব চাষীর অন্তত ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। অনেক মৎসচাষী আছে তারা ব্যাংক ঋণ ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মাছের চাষ করেছিল। স্বপ্ন ছিল মাছ চাষ করে ঋণ পরিশোধ করে লাভের টাকায় সংসার চালাবে। কিন্ত তাদের স্বপ্রে মাছ ভেসে যাওয়ায় তারা এখন দিশেহারা। কিভাবে ব্যাংক ঋণ বা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ করবে। সংসারই বা চালাবে কিভাবে তারা। আবার অনেক বেকার যুবক প্রশিক্ষন নিয়ে মাছের চাষ করেছিল লাভের আশায়। তারা পড়েছে বেকায়দায়। তাদেও দাবী একটাই সরকার যাতে তাদের ক্ষতি পূষিয়ে নিতে আর্থিক সহায়তা করে।
জেলা মৎস অফিসার মো: আমিনুল হক জানান, এবার বন্যায় ৭লাখ ৭৯ হাজার টাকার পোনা, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অবকাঠামোর ক্ষতিসহ মোট ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ মৎসচাষীদের তালিকা করে আমরা উর্ধ্বতন অফিসে পাঠিয়েছি। আশা করি তাদের জন্য কিছু একটা করা হবে।
মৎস অফিস সূত্রে আরো জানাযায়, জেলা গত অর্থ বছরে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন মৎস উৎপাদন হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন মৎস উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।