গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগ মামলা হিসেবে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের আদালত।
বুধবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান একটি অভিযোগ আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলিনি। কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে আমার বিদ্বেষ নেই। কে বা কারা মামলা করেছে আমি জানি না। তবে এই অভিযোগের জাস্টিফিকেশন আছে বলে আমি মনে করি না। যে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বলতে পারেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তি এবং কটূক্তির কারণে একটি সম্প্রদায়ের মানহানি করেছেন। আদালত মানহানির বিষয়টি (দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় আনা অভিযোগ) আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ নভেম্বর এই আদালত পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ও ৫০০ ধারায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা সমন জারির আবেদন করেছি। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে বিকেলে আদেশের জন্য রেখেছেন।’
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৯ আগস্ট বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ সনাতন ধর্ম ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
এতে বলা হয়, জাফরুল্লাহ মন্তব্য করেন ‘হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ মহাভারত, রামায়ণ দুটোর মধ্যেই প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের গল্পকাহিনী’ রয়েছে যা দৈনিক পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
রামায়ণ ও মহাভারত সনাতন ধর্মীয় দর্শনের ‘ভিত্তি’ উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ সম্পর্কে জনসম্মুখে দেওয়া বক্তব্য মনগড়া, আপত্তিকর, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ও বেআইনি।
এতে আরও বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কু-মানসে প্রকাশ্যে এরূপ ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।