রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে আল ইয়াকিন দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের কেন্দ্র করে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে অবস্থানকারী পক্ষের গুলিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এখনও মুখোমুখি রয়েছে উভয় পক্ষ। শুক্রবার (২১ আগস্ট) বাদে জুমা হতে কক্সবাজারের টেকনাফে রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ২২ নং রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে সক্রিয় থাকা উগ্রপন্থী সংগঠন আল ইয়াকিন দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি শুরু হয়।
পাহাড়ে অবস্থানকারী গ্রুপের এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণে সি-ব্লকের নুর হোসেন (৩৫), আব্দুর শুক্কুর (১৮), সি-১ এর ওমর ফারুক (১২), বি-২ এর ওসমান (১৭) গুলিতে আহত হয়। আহতদের ক্যাম্পের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, আল ইয়াকিনের অপকর্মের কারণে মিয়ানমার থেকে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে হয়েছে। তারা পাশের ক্যাম্পে স্বশস্ত্র অবস্থান নিয়ে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইয়াবা কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নারীদের পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানী করে আসছে। ইসলামী জিহাদের নামে লোকজনকে মাদক বাণিজ্যে বাধ্য করছে। অনেক রোহিঙ্গা আল ইয়াকিনের এই ধরনের অপকর্মের প্রতিবাদ করে ক্যাম্পে এসে স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করার চেষ্টা করছে। পাহাড়ে অবস্থানকারী গ্রুপ ক্যাম্পে এসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে ক্যাম্পের লোকজন বাঁধা দেওয়ায় গোলাগুলির সূত্রপাত হয়।
এই বিষয়ে ক্যাম্প পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি (এপিবিএন) এএসআই মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ফিরে যাওয়ার পর পরই আবারও উভয়পক্ষের লোকজন থেমে থেমে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। রাত সাড়ে ৭টার পর পরিস্থিতি শান্ত হলেও উভয়পক্ষ মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছে।