ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

‘কাঠের টুকরো রেখে হাত সেলাই করলেন নার্স’

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৩ বার পঠিত

কাঠের দুটি টুকরো ভেতরে রেখেই ১২ বছরের শিশু রাকিবের হাতে সেলাই করেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালের এক নার্স। দুই মাস অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগের পর অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে কাঠের দুই টুকরো। দোষী নার্সের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিশুটির স্বজনরা।
গেলো ১৫ই মে ঘরের মাচা থেকে পা পিছলে পড়ে যায় মাদারীপুর সদরের আলম সরদারের ছেলে রাকিব। এ সময় গাছের দুটি টুকরো তার হাতের ভেতর ঢুকে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় তারা বাবা।

তবে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কোনো চিকিৎসক। ছেলের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নার্স তোতা মিয়ার সাহায্য নেন রাকিবের বাবা। কিন্তু কাঠের টুকরো ভেতরে রেখেই দুই সহযোগীকে নিয়ে রাকিবের হাত সেলাই করে দেন ওই নার্স।

বাড়ি ফেরার পর থেকেই শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। দুই মাস পরও ব্যাথা না কমায় শিশুটিকে নেয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় কাঠের টুকরো দুটি। শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছে শিশুটির বাবা। ভুক্তভোগী শিশুর বাবা আলম সরদার বলেন, ‘দুই মাস পর্যন্ত ড্রেসিং করেছি, কোন কাজ হয় না। ভেতরে কাঠের টুকরা ছিল তাতো জানি না। যারা এ ধরণের কাজ করে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শান্তি চাই।’ ভুক্তভোগী শিশু রাকিব সরদার জানান,’শুকাতো না। যন্ত্রণা হতো। পরে ফরিদপুর যেয়ে অপারেশন করছি। তখন কাঠ পাওয়া গেছে ভেতরে।’

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তোতা মিয়া। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নার্স মোহাম্মদ তোতা মিয়ার দাবি,’তখন কাঠ পাইনি। মাংসের সঙ্গে কাঠ মিশে যেতে পারে। থাকতে পারে কাঠ।’

এদিকে, সিভিল সার্জন বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ করলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, ‘দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।’

ঘটনার দিন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের শাস্তিও দাবি করেছেন স্বজনরা।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102