জোয়ার-ভাটার ওপর ভরসা করে এখন চলছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিসার্ভিস। ফলে এই ফেরি সার্ভিসের চাঁদপুরের হরিণা এবং শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ঘাটে রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছিল। ভোর ৪টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত হরিণাঘাট এলাকায় ফেরির পন্টুনের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে বিকেলে ফের জোয়ার শুরু হলে ফেরি চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এখন প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটের দুইপ্রান্তে বিপুল পরিমাণ যানবাহন আটকা পড়ে। যানবাহনের চালকরা জানান, একদিকে জোয়ারের পানি অন্যদিকে ফেরি স্বল্পতার কারণে তাদেরকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশের দুই সমুদ্র বন্দরের পণ্যসমূহ সড়কপথে দ্রুত যোগাযোগের জন্য বিগত ২০০১ সালে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিসার্ভিস চালু হয়।
এদিকে, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদী থেকে ধীরে ধীরে জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছে। তবে গত ৫ দিনে জোয়ারের তাণ্ডবের ক্ষত রেখে গেছে। এতে নদীপাড়ের প্রায় একহাজার মাছের খামার ও ঘেরের অন্তত ২০ কোটি টাকা মূলের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তরের কাঁচা ও পাকা সড়ক, বসতঘর, ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এসব বিষয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।