খুলনা নগরবাসীর দুর্ভোগের অপর নাম জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা থেকে মুক্তির দাবি দীর্ঘদিনের। নগর পিতা বলছেন, এই সমস্যা সমাধানে পর্যায়ক্রমে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। যা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।
ড্রেন, খাল ও নদীর মাধ্যমে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার পয়নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্ত পয়নিষ্কাশনের এইসব মাধ্যমের তলদেশ ভরাট হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নগরবাসী জানান,’বৃষ্টির পানিতে প্রচন্ড জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে এ মৌসুমে তো আর সম্ভব না। পরের বছর যেন আমরা এ সমস্য থেকে মুক্তি পেতে পারি সে ব্যবস্থা যেন করা হয়।’
এই সমস্যার সমাধানে ২০১৯ সালে ময়ুর নদীসহ ২৬ টি খালের ৫শ’ ৮৬ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে নগরীর ২৬ টি খাল দখল মুক্ত করে খননের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে পারলে জলবদ্ধতা দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আবির উল জববার জানান,’জার্মন, নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে আমরা সর্বমোট ময়ুর নদীসহ ২২টা খাল ওই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেছি। যাতে খুলনা শহরের জলাবন্ধতা দূর হয়।’
এ প্রসঙ্গে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন,’আগামী বর্ষার আগেই যেন এই ২২টি খালকে অবৈধ দখর মুক্ত করে, সচল করে যাতে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা যায়। এটা নাগরীকদের দাবি।’
নগর পিতা বলছেন, সমস্যা সমাধানে দেশি- বিদেশি অর্থায়নে এক হাজার ১শ’ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান,’চলমান কাজ সম্পন্ন হলে খুলনা শহরে আর কোন জলাবন্ধতা থাকবে না।’
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে- এমনই প্রত্যাশা নগরবাসীর ।