বিরোধিতার মুখেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের খসড়া গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির ৭০তম সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিন কমিশনার এই খসড়া গ্রহণ করলেও, নোট অব ডিসেন্ট দেন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার। আরপিওর অংশবিশেষ নিয়ে পৃথকভাবে আইন প্রণয়ন, হটকারি সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।
গত জুন মাসে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও থেকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ধারা পৃথক করে আইনে রুপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। তারই আলোকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতামতের জন্য প্রায় এক মাস সময় দেয় ইসি।
হাতে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে নিবন্ধন আইনের একটি খসড়া করে বুধবার কমিশন সভায় তোলা হয়। আইনটির বিরোধীতা করে নোট অব ডিসেন্ট দেন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার। এই কমিশনার ভিন্ন মত দিলেও আইনটি কেন আরপিও থেকে আলাদা করা হচ্ছে তার যুক্তি তুলে ধরেন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে কিছু কিছু রাজনৈতিক মনোনয়ন দেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। সেটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আলাদা একটি স্বন্তন্ত্র আইন করা গেলে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে তা প্রয়োগ করা যাবে।
কমিশনারদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের খসড়ায় সংযোজন বিয়োজনের মাধ্যমে আগামী সপ্তাহে আবারো উত্থাপন করা হবে। তারপরই আইনের খসড়ায় আসবে অনুমোদন।