কক্সবাজারের চকরিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার জিদ্দাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অলিপুর গ্রামের মোহাম্মদ বশিরের ছেলে আমজাদ হোসেন রিফাত (২২)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ছাড়া একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হাকিমের ছেলে তানজিলুর রহমান নিলয় (২২) ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ তারেক (১৬)। নিলয় চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল থেকে সদ্য পাশ করা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। আর তারেক এবার এসএসসি পাশ করেছিল।
হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা ও তাদের বন্ধু সুজন কান্তি নাথ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। সে কারণে তারা বাড়িতে অবস্থান করছিল। রবিবার সকালের দিকে তারা তিনজন চকরিয়া পৌর শহরে কাজে যায়। ফিরে আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুইজন ঘটনাস্থলে এবং আরেকজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (আইসি) পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, রবিবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে মালবোঝাই কাভার্ডভ্যান কক্সবাজার যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে তিনজন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল চিরিংগা স্টেশন থেকে হারবাংয়ের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জিদ্দাবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল ও কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাত ও তারেককে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত তানজিমুলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালের পৌঁছানোর আগে তিনিও মারা যায় বলে জানতে পেরেছি।
এই ঘটনায় কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।