পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের ভাঙনের মুখে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী এবং কুমার নদের তিন দফা পানি বাড়া-কমায় মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এরিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে তিনটি স্কুল, পাঁচ শতাধিক বসত ঘর ও বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝুঁকিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। সব হারিয়ে দিশেহারা শত শত পরিবার।
ভয়াবহ ভাঙনে নদীতে বিলিন সবকিছু। মাথা গোঁজার ঠাই পর্যন্ত নেই। তাই পরিবার নিয়ে নতুন ঠিকানার খোঁজে এই যাত্রা।
গত দুই মাসে পদ্মায় তিন দফা পানি বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়ায় মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা, চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ীতে তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে তিনটি বিদ্যালয়। ভিটে মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে শত শত পরিবার। ভাঙন ঝুঁকিতে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও কাজিরসুরা বাজারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
এছাড়া জেলার চার উপজেলায় পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ নদী ও কুমার নদের ৩৯টি পয়েন্টের ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৫ শতাধিক বসত ঘর ও মাদারীপুরে শহর রক্ষা বাঁধের ৫০ মিটার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৫শ পরিবার।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, আমরা আপাতত জিও ব্যাগের মাধ্যমে বাঁধটি সংস্কারের কাজ চালাচ্ছি। এটি আমরা অব্যাহত রাখবো।
আর ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন ডক্টর রহিমা খাতুন। তিনি বলেন, যে পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে আমরা ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছি। তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
তবে শুধু আশ্বাস নয়, ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের পাশাপাশি দ্রুত পুনর্বাসন চান ভুক্তভোগীরা।