মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি)-র চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সোমবার দুপুর ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার স্ত্রী নিলুফার পান্না কোরেশী সাংবাদিকদের বলেছেন, “ক্যান্টনমেন্টে মেয়ের বাসায় দুপুর দেড়টা দিকে উনি মারা গেছেন। স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন।”
আরও জানান, ৫ বছর যাবৎ তার স্বামী বার্ধক্যজনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
মৃত্যুকালে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাদ আসর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে ফেনীর দাগনভূঞায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৬০ এর দশকে অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৬২ এর ৬ দফা আন্দোলন ও ১১ দফা ভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে দেশবাংলা পত্রিকা তার সম্পাদনায় বের হয়।
১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হওয়ার পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে তিনি ২০০৭ সালে তিনি পিডিপি গঠন করেন।