দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্যান্ডপেপার গেট কান্ডের মতো কলঙ্কজনক অধ্যায় এখনও তার জীবনে দগদগে ঘায়ের মতো। ক্যারিয়ারে নির্বাসন নেমেতো এসেছিলই, কিন্তু তার চেয়েও বড় আঘাতের জায়গা ছিল নির্বাসন পরবর্তী অধ্যায়। যেখানেই গেছেন স্যান্ডপেপার গেট কান্ড একাধিকবার হুল হয়ে বিঁধেছে গ্যালারি থেকে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের মাটিতে।
২০১৯ বিশ্বকাপ হোক কিংবা অ্যাশেজ, ইংল্যান্ডের গ্যালারি বরাবরই প্রতিকূল ছিল ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথদের কাছে। কিন্তু করোনা আবহে ভিন্ন পরিমন্ডলে লকডাউনের পর অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরল ইংল্যান্ডের মাটিতেই। গ্যালারিতে দর্শক নেই। ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকালে পাড়ার ক্রিকেটের মতো স্ট্যান্ডে উঠে বল খুঁজছেন বিপক্ষ ফিল্ডাররা। ক্রিকেটে ‘নিউ নর্ম্যাল’ এই ছবি ক্রিকেটারদের কাছে মোটেই সুখের নয়। পাশাপাশি স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত অনুরাগীরাও।
এত নেতিবাচক বিষয়ের মাঝেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন ওয়ার্নার। সাউদাম্পটনে প্রথম টি-২০ ম্যাচের পর অজি ওপেনার জানালেন, এই প্রথম গ্যালারি থেকে কটুক্তি শুনতে হল না। অ্যাজিয়াস বোলে ম্যাচের পর শুক্রবার ওয়ার্নার বলেন, প্রথমবারের জন্য ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলতে নেমে কোনওরকম গালিগালাজ শুনতে হল না আমায়। এটা ভীষণই ভালো। যদিও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার বিষয়টিকে ‘বিচিত্র’ আখ্যা দিয়েছেন ওয়ার্নার। তবে ৬ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছেন, এতেই খুশি সাবেক অজি সহ-অধিনায়ক।
যদিও দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়টিকে হারের অজুহাত হিসেবে খাড়া করতে রাজি নন তিনি।
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার ইংল্যান্ডের কাছে ২ রানে পরাজিত হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ১৬২ রানের জবাবে ওয়ার্নার-ফিঞ্চের ৯৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপেও জয় আসেনি অজিদের। ভালো শুরু করেও মিডল অর্ডারে ব্যাপকভাবে ধস নামায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে সামান্য দূরেই থমকে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে।
গত শুক্রবার ম্যাচের অন্তিম ওভারে অজিদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। প্রথম বল ডটের পর টম কারেনের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান স্টোইনিস। শেষ ৪ বলে অজিদের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। কিন্তু ওভারে আর কোনও বাউন্ডারি হজম করেননি কারেন। বরং নার্ভ শিথিল রেখে ৪ বলে ৬ রানের বেশি তুলতে দেননি অজি অলরাউন্ডারকে।