বাড়ি ভাড়া চাওয়ায় বাসার মালিককে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানার এক রাইটারের বিরুদ্ধে। ওই রাইটারের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে রংপুরে এসে এক শিক্ষক দম্পতি তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়ের বাসায়। বিষয়টি রংপুরের এসপি ও মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে অবহিত করার পরেও ওই বাসা ছাড়ছেন না ভাড়াটিয়া পরিবার।
রোববার বিকেলে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন বাসার মালিক শিক্ষক দম্পতি শাহ্ মোহাম্মদ নুরুল রওশন ও কাওছারী আক্তার বানু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুল রওশন বলেন, মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে থানার কাছে চিথলী দক্ষিণপাড়ায় তার পৈতৃক সম্পত্তিতে নির্মাণ করা বাসা ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিমাসে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেন মিঠাপুকুর থানার রাইটার আব্দুল আলীম মিঠুর পরিবারকে। এজন্য ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয়।
কিন্তু ওই চুক্তি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের শেষ হলেও এখন পর্যন্ত বাসা ছেড়ে দেয়নি ভাড়াটিয়া মিঠু ও তার পরিবার। এমনকি গত সাত মাস ধরে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে মিঠু।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, মিঠু মিঠাপুকুর থানার মামলা মোকাদ্দমা লেখালেখি ও দালালির কাজ করতেন। তার স্ত্রী, সন্তানেরা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। তার ছেলে মুন্না ও মান্না ছাত্রশিবিরের ক্যাডার। সেই প্রভাবে মিঠুর লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে অব্যাহত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে থানা পুলিশ থেকে বলার পরও বাড়ি ছেড়ে না দেয়ায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
ভাড়াটিয়ার মিঠুর দখলে থাকা বাসা বাড়ি উদ্ধারে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, এসপিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেন শিক্ষক দম্পতি নুরুল রওশন ও কাওছারী বানু।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আলীম মিঠু জানান, ওই শিক্ষক দম্পতি বাসার মালিক নয়। তিনি ভাড়া থাকেন না। ওই বাড়ি তার নিজের সম্পত্তি। এ ব্যাপারে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।