ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে লড়াইটা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) আর মার্শেইর মধ্যে। এই ম্যাচে যতোটা না ফুটবল খেলা হয়েছে তার থেকে বেশি হয়েছে ফাউলের প্রতিযোগিতা। ছিল মারামারির দৃশ্যও। এর ফলে হলুদ কার্ড আর লাল কার্ডের ছড়াছড়ি ছিল পুরো ম্যাচে।
ফাউল করার অসুস্থ প্রতিযোগিতার ম্যাচে রেফারিকেও থাকতে হয় ব্যস্ত। একের পর ফাউল ধরা আর লাল-হলুদ কার্ড দেখানোয় সময় পার করতে হয়েছে রেফারিকে। সবমিলিয়ে নেতিবাচক রেকর্ডের এক ম্যাচ দেখেছে ফুটবলপ্রেমিরা।
পুরো ম্যাচে ১০ হলুদ কার্ড আর ৫ লাল কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। যা লিগ ওয়ানের কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ কার্ডের রেকর্ড। এর বাইরে ম্যাচের পুরো সময়ে দুই দলের ফুটবলাররা ফাউল করেছেন ৩৬ বার।
ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় শুরু হয় এ ফাউলের প্রতিযোগিতা। পিএসজি তারকা নেইমারকে ডি বক্সের বাইরে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন মার্শেই ডিফেন্ডার হিরোকি সাকাই। এর মিনিট চারেক পর কার্ডের খড়গ আসে নেইমারের ওপরেই। এবার তিনি তর্কে জড়ান মার্শেইর স্ট্রাইকার দিমিত্রির সঙ্গে। দুজনকেই হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করে দেন রেফারি।
এর পরের কার্ডের দেখা মেলে দুই মিনিট পর। এবার মার্শেইর অ্যামাভিকে ট্যাকল করায় হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজি ডিফেন্ডার আলেজান্দ্রো ফ্লোরেনজি। ৩৮ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন মার্শেই মিডফিল্ডার পেপ গাই।
প্রথমার্ধে হলুদ কার্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫টি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তা আরো বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে হলুদ কার্ড দেখেন মার্শেই ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেজ এবং পিএসজি ডিফেন্ডার হুয়ান বার্নাট। এর কিছুক্ষণ পর প্রতিপক্ষের জার্সি টেনে ধরে হলুদ কার্ড দেখেন মার্শেই স্ট্রাইকার ম্যাক্সিম লোপেজ।
ম্যাচের ৭১ মিনিটের সময় অফসাইডের বাঁশি বাজানোর পর রাগ দেখিয়ে লাথি মেরে বল বাইরে পাঠানোর কারণে হলুদ কার্ড দেখানো হয় মার্শেই স্ট্রাইকার দারিও বেনদেত্তোকে।
এরপর ফাউল করেন পিএসজির ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাকেও হলুদ কার্ড দেখাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি।
ম্যাচের শেষদিকে ঘটে মারামারির ঘটনা। দুই দলের দুই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লেওনার্দো পারেদেস ও দারিও বেনদেত্তোর ফাউলের ঘটনাকে বড় করেন জর্ডান অ্যামেভি-ল্যাভিন কুরজায়ারা। ফলে চারজনকেই দেখানো হয় লাল কার্ড। এর মাঝেই একজন মাথায় আঘাত করেন পিএসজির তারকা নেইমার। ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির সহায়তা নিয়ে তাকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে মাঠ বেরিয়ে যেতে হয় তাকেও।
সবমিলিয়ে নেতিবাচক ঘটনাবহুল এক ম্যাচের সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব।