খিচুরি রান্না প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাব ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হাস্যকর তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খিচুরি রান্না প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। ইতিপূর্বে পুকুর খননের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে পাঠানো হয়েছিল, পাবদা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছিল। এসব অভিনব ও হাস্যকর তামাশা কেবলমাত্র শেখ হাসিনার আমলেই সম্ভব। আবহমানকাল ধরেই ওইসব বিষয়ে সাধারণ মানুষ রপ্ত। সেইসব বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানোতে একটি প্রবাদ মনে পড়ে যায়- “সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল”।’
রিজভী বলেন, ‘মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে ফালতু কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে পাঠানো মূলত মিডনাইট নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের উপটোকন দেওয়া। যে সরকারের আমলে একটা বালিশের দাম সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং একজন রোগীকে আড়াল করতে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার পর্দা লাগে, সেই সরকার যে আগাগোড়াই লুটপাটের চেতনায় অনুপ্রাণিত তার বলার অপেক্ষা রাখে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘“প্রাইমারি স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম” এর প্রকল্পের আওতায় স্কুল শিক্ষার্থীদের রান্না করা সবজি খিচুরি বা ডিম সরবরাহের কাজে এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রস্তাব করেছে। এই প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। বিশাল ব্যয়ের এই আগামী পাঁচ বছর দেশের ৫০৯টি উপজেলায় এক কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থীদের মাছে তিনদিন গরম খিঁচুরি এবং তিন দিন পুষ্টিকর বিস্কুট সরবারহ করা হবে। ২০১০ সালে শুরু হওয়া ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে।’