হঠাৎ করে বাজারে পেঁয়াজ সংকটকে ‘কৃত্রিম’ দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক সরকারি দল সমর্থিত সিন্ডিকেট।
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ পেঁয়াজের এই অগ্নিমূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। গত দু’দিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা। আর আজকে পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে।’
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের যেন কোনো দায়দায়িত্ব নেই। অগণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাহীন সরকারের জনগণের কষ্টের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই।’
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দামের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি আবারও প্রমাণ করে যে, সরকার জনগণের প্রাণের বিনিময়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকাকেই বড় করে দেখছে। দেশের মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে থাকলেও তাদের কিছু যায়-আসে না। শুধু অবৈধ ক্ষমতার মসনদকে ধরে রাখাই বর্তমান সরকারের একমাত্র কাজ।’
রিজভী বলেন, পেঁয়াজের এই অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধি বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। সরকার সমর্থিত দলের সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতেই পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি।
তিনি আরও বলেন, ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে প্রেরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। বাংলাদেশ এই সংবাদ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা তেলেসমাতি শুরু করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।